বিমান ভ্রমণে কি কি নিয়ম কানুন মেনে চলা উচিত

যোগাযোগের অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে বিমান। অনেকের কাছেই বিমানযাত্রা আরামদায়ক এবং উপভোগ্য। তবে অনেকগুলো নিয়ম আছে যেগুলো বিমানে ভ্রমণকালে মেনে চলা উচিত।


দেশের বাইরে ভ্রমণের পাশাপাশি বর্তমানে সময় বাঁচাতে কিংবা আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য বিমানে চলাচল বেছে নেন অনেকেই। বিমান ভ্রমণের সময় বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা দরকার।
লাগেজ বেশি ভারি না করাঃ বিমান ভ্রমণে নির্দিষ্ট পরিমাণ ওজনের লাগেজ বহনের নিয়ম রয়েছে। সেটা মাথায় না রেখে অনেকেই অহেতুক লাগেজ অপ্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে ভারি করে ফেলেন। যেটা মোটেও উচিত নয়। অতিরিক্ত ওজনের লাগেজ অহেতুক বিড়ম্বনার কারণ হতে পারে। তাই প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো নিয়ে লাগেজ নির্দিষ্ট ওজনের মধ্যে রাখাই ভাল।
ভ্রমনণের পুরো সময় সিটে বসে থাকবেন নাঃ বিমানে অনেকক্ষণ বসে থাকার ফলে পায়ের শিরায় রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি থাকে। অনেক সময় গন্তব্যে পৌঁছতে কয়েক ঘন্টা লেগে যায়। দূরের ভ্রমণে তাই সারাক্ষণ বসে না থাকে একটু হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। তাছাড়া সেই সাথে খুব বেশি আঁটসাঁট পোশাক না পরে নির্বাচন করতে পারেন একটু ঢিলে পোশাক।
খালি পায়ে হাঁটবেন নাঃ কয়েকঘন্টার ভ্রমণকে সবাই চেষ্টা করেন আরামপ্রদ করতে। সেক্ষেত্রে হয়ত জুতা খুলে রাখেন অনেকেই। কিন্তু জুতা খুলে খালি পায়ে আশেপাশে না হাটাই উত্তম। অনেকে খালি পায়ে হেটেই ওয়াসরুম পর্যন্ত চলে যান। বিমানের মেঝে ময়লা এবং জীবাণুযুক্ত হয়। তাছাড়া অনেক সময় কাঁচের গ্লাস ভেঙে গেলে সেটাও থাকতে পাড়ে মেঝেতে। তাই বিমানে খালি পায়ে হাঁটা এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
ট্রে টেবিলে খাবার পরলে সেটা খাবেন নাঃ গবেষণা মতে বিমানের অন্যতম জীবাণুযুক্ত একটি জিনিস হচ্ছে ট্রে টেবিল। তাই খাবার নেয়ার সময় ট্রে টেবিলে পরে গেলে সেটা খাওয়া উচিত না। ট্রে টেবিলগুলো অনেক কাজে ব্যবহার করা হয়। তাই সেখান থেকে জীবাণু আক্রমণের ঝুঁকি থাকে বেশি।
টেক অফ বা ল্যান্ডিং-এর সময় ঘুমানোঃ বিমান যখন মাটি থেকে আকাশে উড়ে কিংবা ল্যান্ড করে তখন আশেপাশের বায়ুচাপ খুব দ্রুত পরিবর্তিত হয়। এটি কানের ভেতর বাতাসের চেয়ে বেশি দ্রুত পরিবর্তিত হয়। সেক্ষেত্রে টেক অফ বা ল্যান্ডিং-এর সময় ঘুম পরিহার করা উচিত।
কোন কিছু প্রয়োজন হলে ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টকে বলুনঃ বিমানে ভ্রমণকালে অনেকেই অসুস্থ বোধ করেন। তাছাড়া কোন কিছুর দরকার ও হতে পারে। অনেকেই ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টকে কিছু দরকার হলে বলতে অস্বস্তি বোধ করেন। এটা উচিত নয়। আপনি ফ্লাইটের মধ্যে অসুস্থ হতে চাইবেন না। তাই কোন দরকারে কিংবা অসুস্থ বোধ করলে ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টকে সেটা জানান।
চোখে লেন্স পরা থেকে বিরত থাকুনঃ বিমানে লেন্সের পরিবর্তে চশমা ব্যবহার করুন। কেবিনে বাতাস অনেক শুষ্ক হয় এবং এর ফলে লেন্স পরিহিত অবস্থায় থাকলে চোখে জালা-পোড়া এবং অস্বস্তি হতে পারে। তাই বিমান ভ্রমণে লেন্স ব্যবহার করা উচিত নয়।
বিমানে দেয়া কম্বল ব্যবহার না করাঃ বিমানে অনেকবার ব্যবহৃত আরেকটা জিনিস হচ্ছে কম্বল। কম্বল এবং বালিশ দুটোই জীবাণুযুক্ত থাকার আশংকা থাকে। তাই কম্বল এবং বালিশ না ব্যবহার করাই ভাল।
ওয়াসরুমের ফ্লাস বাটন খালি হাতে ধরবেন নাঃ বিমানের ওয়াসরুম জীবাণু আর ব্যাকটেরিয়া লুকিয়ে থাকার আরেকটি প্রধান জায়গা। তাই ভাল মত হাত ধুয়ে তারপর ফ্লাস বাটন চাপ দেয়ার জন্য টিস্যু ব্যবহার করা উচিত। দরজা খোলার জন্যও টিস্যু ব্যবহার করা শ্রেয়।

Comments