চিত্রকর্ম: গিয়র্গিও দি চিরিকো
১
তোমার সমুখে নগ্ন হয়ে ভাবি, এ আড়াল কি করে ভাঙি
২
আমাকে খুলে নিয়ে যাও এ শরীর থেকে
এ শরীর বড় ক্লান্তিকর
৩
এতো মাধুর্য নিয়ে তুমি কেন ফুটে থাকতে চাও আমার কবরে?
৪
সে বেদনার মথিত হাওয়া, পাতা হয়ে দুলি
৫
নিজের মৃত্যুটাকেও স্থগিত করে রাখি
যেনো ডেকে তোমাকে ফিরে যেতে না হয় না পেয়ে
৬
মৃতদেহ টপকে টপকে অন্য গ্রামে চলে যাচ্ছে গ্রামের নিয়তি
৭
বহুবছর পর হয়তো মনে পড়বে -এ বছর হেমন্তে তোমার ছিলাম
৮
রাতের নির্জনতা ভেঙে পড়ে ভাতের থালার উপর
একটা ক্ষুধার্ত মুখ চাঁদের উপমার মতো পুরোনো হতে থাকে
পুরোনো হতে থাকে
৯
মেয়ে তুমি আর কবে বুঝবে-
ঢেউয়ের উপর পা রেখে সমুদ্র পার করা যায়না, ডুবে যাওয়া যায়
১০
ভাসানের লয়ে মথিত জলেরাও তোমার কথা বলে
১১
আর আমাদের মধ্যে হানা দেয় পাড়হীন প্রেম
১২
ধরো একা,গভীর রাত,নাহয় আমি তোমার পানির গ্লাস এগিয়ে দেবার ডাক
১৩
ধরো ম্যাপল লিফ, যেমন কুড়িয়ে নিতে,
তেমনই, নাহয় আমাকে কুড়াতে
১৪
বুকের খাদে কেবলই অঝোর তোমার ঝরার ক্ষত
১৫
আমি তো আশ্বিন,দুপুর ভাঙা ঢেউ
পাতা ঝরার স্বরে আড়াল হওয়া কেউ
১৬
বিকেলটা এলোমেলো পায়ে সন্ধ্যার দিকে, আমার পথ মুড়িয়ে দিচ্ছে বিভোর মালহারে
১৭
তোমাকে রেখে যাবো কবিতায়-
অলস দুপুর শেষে, বহুযুগ পরে
কোনও অষ্টাদশী প্রেমিকার ঠোঁটে
১৮
হয়তো দুপুর, হয়তো স্মৃতি, জলের ধারে কাঁপছো তুমি
১৯
মরে গেলে এমন চাঁদের তলায় মাটি দিও
একটা করে কাঠগোলাপ বিছিয়ে দিও
২০
চাঁদটা বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে
২১
হাত ধরো,এসো বসে থাকি মুখোমুখি অনন্ত পরিধির দিকে
২২
তোমাকে ডাকলেই দিগন্তে আকাশ উছলে ঢেউ
দূরের পুরুষ তুমিতো খুব কাছের কেউ
২৩
আমি তোমার মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়ে থেকেছি
সহসাঘোরে অন্ধকারে ডুকরে কেঁদেছি
২৪
বুকের কাছে একটু জায়গা দাও নিজেকে জড়িয়ে ধরি
২৫
তুমিও তো তার মতোই প্রিয় যার সংগে দেখা হয়না আর
২৬
অথচ মরে যেতেও মানুষকে অনেকগুলো বছর বাঁচতে হয়
চোখ
অরণ্যে অই উড়ছে যে পাখি,সেই ডানার শব্দে ফেটে যায় ডালিম।বনে উড়ুক্কু মাছের চোখে ঘনায় রক্তাভ শিহরণ।
একজোড়া নগ্ন চোখ পা চলে গেছে ফেলে,করোটির ভেতর স্মৃতির উইপোকা, শব্দকে ভাংতি করে বোধের আচকান টান মারে দৃশ্যেরা, আদি নিভৃত বেদনা।
চোখ এক নরম নদী, যেখানে সাঁতার কাটতে আসে বিভৎস দৃশ্যেরা।
মুখ
Comments
Post a Comment